স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: সরকার দেশে ‘ভয়ংকর’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রোববার (৭ নভেম্বর) প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। ৩৫ লাখের বেশি মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জর্জরিত করা হয়েছে, গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে। এভাবে সরকার দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’
বিপ্লব ও সংহতি দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজ এই দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করেছি এদেশের মানুষের একত্রিত করে ঐক্যবদ্ধ হযে সমস্ত রাজনৈতিক দল, সমস্ত সংগঠন এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। বাংলাদেশেকে আমরা অবশ্যই আবার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একটা স্বাতস্ত্র শক্তি নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবার এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের আন্দোলন করব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ নভেম্বরের মাধ্যমেই আমরা ফিরে পেয়েছিলাম যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ও চেতনার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত করবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে। ৭ নভেম্বরে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম।’
‘আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছিলাম, মুক্ত অর্থনীতি একটি সমাজ নির্মাণ করবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সামাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আবার রুখে দাঁড়িয়েছিল, সংবাদপত্রের ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছিল। সর্বোপরি যেটা বাংলাদেশে স্বাতন্ত্র্য নিয়ে, পরিচয় নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সুযোগ পেয়েছিল। আমরা বার বার এই দিনটিকে স্মরণ করি এবং এই দিনটি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়’, বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এই ৫০ বছর পরে এই স্বৈরাচারি-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ একটা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে আমাদের সমস্ত স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাত করে দিয়েছে, চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সমস্ত স্তম্ভগুলোকে তারা নিজের হাতে নিমর্মভাবে ধবংস করে দিয়েছে।’
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, দেওয়ান মো. সাল্উাদ্দিন, আবু আশফাক খন্দকার, অঙ্গ সংগঠনের আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম নিরব, হেলেন জেরিন খান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাদেক আহমদে খান, আমিনুল হক, শাহ নেসারুল হক, হেলাল খান, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, জাকির হোসেন রোকন, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, নুরুল ইসলাম নয়নসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/এমও