স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে ডা. জাফরুল্লাহ যে দাবি তুলেছেন, তা আসলে বিএনপি’র অন্তর্গত বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রয়াত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী’র স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. জাফরুল্লাহ পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বক্তব্য শুধু জাফরুল্লাহ সাহেবের নয়, পুরো বিএনপি’র অন্তর্গত বক্তব্য। তারা যে এখনো পাকিস্তানকে ভুলতে পারছে না, এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।
ওই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ওপর ১৯৭১ সালে যে অন্যায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ পাকিস্তান করেছে, সেজন্য বাংলাদেশের কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।
এদিকে, বরেণ্য অভিনেত্রী কবরী আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন উল্লেখ করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ড. হাছান।
তিনি বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে এফডিসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরুর কয়েক বছর পরেই সারাহ বেগম কবরীর আবির্ভাব। প্রায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি যেভাবে চলচ্চিত্র অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে গেছেন তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সুচিত্রা সেনের পর আরেকজন সুচিত্রা সেন আসেনি। কবরীর মতো আর একজন শিল্পী কখন আসবে, তা বলা মুশকিল।
নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিজাতীয় সংস্কৃতিতে গা না ভাসিয়ে, নিজস্ব সংস্কৃতিকে লালন করতে হবে।
অন্যদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তার বক্তৃতায় সারাহ বেগম কবরীকে কিংবদন্তী অভিনেত্রী হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, কবরী তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য দিয়ে বাংলার আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে চির ভাস্বর থাকবেন। তিনি এ সময় তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
সারাবাংলা/জেআর/একেএম