এখন বিয়ের মরশুম। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সানাই বেজে উঠছে। ভাইরাল হচ্ছে বিয়ের নানা খবর, ভিডিও। কখনও বর-কনে মজার কোনও কাণ্ড ঘটাচ্ছেন তো কখনও বিয়েতে আসা অতিথিরা। হাসতে হাসতে পেটে খিল।
সম্প্রতি বিয়ের একটা কার্ড ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হরিয়ানভি ভাষায় লেখা। যাঁরা এই ভাষা জানেন না, তাঁদের অবস্থা খারাপ। কী লেখা আছে বোঝা দূরের কথা, কী ভাষায় লেখা তার মর্মোদ্ধার করতে করতেই রাত কাবার। আর যাঁরা বোঝেন, তাঁরা হেসেই খুন।
‘নাজিয়া খান’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে কার্ডের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। পড়লে বোঝা যাবে, কর্তা শুধু আমন্ত্রণ করেননি, রীতিমতো ধমক দিয়েছেন। নিরাসক্ত ভঙ্গীতে জানিয়েছেন বিয়ের কথা। প্রথমেই কার্ডের উপর বড় বড় হরফে স্পষ্ট লিখে দিয়েছেন, “বড় আনন্দের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সব কাজ ফেলে আসতে হবে। সময় বের করতে হবে। না এলে বকুনি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।”
এভাবে নিমন্ত্রণ করলে, অতিথির না এসে উপায় কী! তবে এখানেই শেষ নয়। বর কখন আসবে, ‘সঙ্গীত; কখন হবে, ভোজনের সময়, খুঁটিনাটি সব লেখা আছে কার্ডেই। তবে ভিন্ন আঙ্গিকে। শুরুই হচ্ছে “বিয়ের খবরাখবর” দিয়ে। এই শিরোনামেই বিয়ের সমস্ত রীতি রেওয়াজের নির্ঘন্ট জানিয়েছেন বরকর্তা।
সঙ্গীতের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে “মহিলাদের নাচার সময়”। আবার “ঘোড়ায় চড়ার সময়”ও জানিয়েছেন নিমন্ত্রণ কর্তা। অর্থাৎ এই সময় বর আসবে। নৈশভোজের সময় জানাতে গিয়ে লিখেছেন, “রুটি খাওয়ার সময়”।
এমন বিয়ের কার্ড ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। কেউ হরিয়ানভিতে কার্ড ছাপানোর প্রশংসা করেছেন। কেউ আবার মজা করে খুঁতও ধরেছেন। কারও মতে, বিয়ের জন্য এমন মজার কার্ড ছাপানোই উচিত। গোমড়া আত্মীয়স্বজনদের মুখেও হাসি ফুটবে।
এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার লিখেছেন, “গায়ে হলুদের কথাটা কে লিখবে শুনি! একদম ভুলে মেরে দিয়েছেন।” আরেকজন লিখেছেন, “এই তো আমাদের খাঁটি হরিয়ানভি ভাষা। বাহ, মজা আ গ্যায়া।” আরেক ইউজার লিখেছেন, “বিয়ের কার্ড পড়ে হাসতে হাসতে মরেই যাব।” কয়েকজন অবশ্য বলছেন, “এমন কার্ড এখন সবাই ছাপায়। সাধারণ ব্যাপার।”
December 09, 2024 11:03 AM IST