নিজস্ব প্রতিবেদক : বোরকা বা হিজাব পরা নারীর সাংবিধানিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশের ১৫টি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বোরকা পরায় হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিচারপতি মুজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আগামী দুই মাসের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোরকা পরার বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালত বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। সব ধর্মের মানুষের এখানে সমান অধিকার। কারও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এবং রাষ্ট্রকর্তৃক সে অধিকার সমুন্নত রাখা একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। বোরকা বা হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের আদৌ হেনস্তা করা হয়েছে কি না এবং হেনস্তা করা হয়ে থাকলে এর পেছনে কারা দায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
রিট আবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। পরে হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আলী মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আলী মণ্ডল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন:
স্বামীর বিরুদ্ধে জাপানি নারীর আদালত অবমাননার আবেদন খারিজ