ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক ::বিশ্ব জুড়ে সর্বত্র এখন একই বিপ্লব, একই শ্লোগান ‘উন্নয়ন’। আর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সমৃদ্ধ দেশ গড়ার পূর্বশর্ত। এ উন্নয়নে প্রয়োজন সম্পদের সুষমবণ্টন ও অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন। চাই দারিদ্র বিমোচন। ইসলাম মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম ভারসাম্যপূর্ণ পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবসা। ইহা যেমনি আধ্যাত্মিক তেমনি বাস্তব-বিজ্ঞান-যুক্তি ভিত্তিক। বাস্তব-বিজ্ঞান-যুক্তিকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার যাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনায় আইন করছে । এজন্য ‘যাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের বিষয়ে জানান।
তিনি বলেন, যাকাত তহবিল গঠন করা হবে। তহবিলের অর্থ সরকারিভাবে সংগৃহীত হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অর্থ যেকোনো তফসিলি ব্যাংকের যাকাত ফান্ডে জমা দিয়ে যাকাত আদায় করতে পারবেন। আর একটি বোর্ড থাকবে। ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এটার চেয়ারম্যান থাকবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সুরা তাওবায় প্রিসাইসলি সাতটি ক্যাটাগরি করে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তি যে যাকাতযোগ্য সেই সাত ক্যাটাগরির যেকোনো একজনকে যাকাত দিতে পারবেন। বিভিন্ন ইসলামিক দেশগুলোতে বোর্ড আছে। অনেকেরই হয়তো ব্যক্তিগতভাবে দেওয়ার সুযোগ থাকে না, সে হয়তো যাকাত ফান্ডে দিয়ে দিলো। তখন যাকাত ফান্ড তার পক্ষে যাকাত আদায় করে দেবে।’
ইসলামী দর্শনে ইবাদত দু’ধরনের- দৈহিক ও আর্থিক। দৈহিক ইবাদতের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল সালাত আর আর্থিক ইবাদতের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যাকাত। দুটিই সমভাবে ফরয। সঠিকভাবে যাকাত আদায় হলেই সম্পদের সুষমবণ্টন ও অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, ‘এটা তো কুরআনেও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে যে, তোমার যখন সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা ওই পরিমাণ টাকা যদি এক বছর থাকে তাহলে আড়াই শতাংশ যাকাত দিতে হবে। সেটা যদি ব্যক্তিগতভাবে দিলো তো দিলো, না হলে সরকারে ফান্ডে দিলে সেটাও দিতে পারবে।’