শিক্ষার্থীদের পেটানো হচ্ছে, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে কানের পর্দা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে, তীব্র শীতে সারা রাত পড়ুয়ারা অনশন করছেন, কিন্তু শাবি উপাচার্য সাহেব সুরম্য অট্টালিকায় পুলিশ পাহাড়ায় নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, শাবি ভিসির অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় সংকট দ্রুত সমাধান করা উচিত।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে একটি সরকার যে আছে তারা কেন চুপ করে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপচার্যকে যিনি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেই খড়্গহস্ত। দেশবাসী চায় সঙ্কীর্ণ রাজনীতি, বস্তাপচা নিয়মের নামে উপচার্য রাজের অবসান ঘটুক।
তিনি আহত শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ কর্তৃক মামলা প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করারও আহবান জানান।
তিনি বলেন, ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আসাদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে শহীদ কিশোর মতিউরের আত্মদানের মধ্য দিয়ে সূচিত হয় মহান গণঅভ্যুত্থান ২৪ জানুয়ারি ১৯৬৯। গণঅভ্যুত্থান দমন করতে ব্যর্থ হয়ে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে বাধ্য হন। কিন্তু তাতেও জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার ঠেকানো যায়নি। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই মুক্ত হন কারাবন্দি আগরতলা মামলার প্রধান আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
তিনি আরো বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ৬৯-এর মহান গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে আমাদের বিস্মৃত হলে চলবে না। যে গণতান্ত্রিক-শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছে জাতি, তা পূরনে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব আতিকুর রহমান, মো. মহসিন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মিতা রহমান, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।