বুধবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

শুরু হয়েছে যুবলীগের ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

প্রতিবেদক
bdnewstimes
ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ ৭:১৬ অপরাহ্ণ


ঢাকা: মুজিব জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয় সোমবার । অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য আমাদের দেশের কৃতি সন্তান, মেধাবী প্রফেসর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের বেছে বেছে ঘরে ঘরে ঢুকে তাদের তুলে নিয়ে নির্মম দুর্বিষহ অত্যাচার-জুলুম করে হত্যা করে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শব্দ দুটি এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাড়া আমরা স্বাধীনতা কল্পনা করতে পারি না। ২৩ বছরের সংগ্রাম, জেল-জুলুম, অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করে তিনি আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে বাঙালি জাতিকে এই বিজয় নিয়ে এসেছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য তার যে ত্যাগ তা কোনো ভাষায় প্রকাশ বা সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়। স্বাধীনতার আন্দোলনে তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটা ছয় দফার মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন এবং বাংলার তরুণ-যুবসমাজ ছয় দফাকে বুকে ধারণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে, ’৭০-এর নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে।

শুরু হয়েছে যুবলীগের ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটি মানচিত্রের জন্য লড়েছিলেন তা নয়, তিনি লড়েছিলেন বাঙালি কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর সাহিত্যের বিকাশের জন্য। তিনি জানতেন বাঙালির সাহিত্যের একটি পরিচয় আছে একটি ঐতিহ্য আছে, তিনি লড়েছিলেন সেই পরিচয় আর ঐতিহ্যের জন্য। তার সেই লড়াই শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সাল থেকে যখন বাংলা ভাষার উপর প্রথম আঘাত করা হয়েছিল। আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ বেঁচে থাকার জন্য, বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ সাধণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি তার মধ্যে মহান বিজয় দিবস ও ডিসেম্বর মাস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অন্যতম।

যুবলীগ চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, চলচ্চিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী মাধ্যম। আমাদের চলচ্চিত্রের একটি ঐতিহ্য আছে। আপনাদের নেতা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের ওপর পত্রিকা “সাপ্তাহিক সিনেমা” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটা বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা যা সিনেমার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিমনা, তিনি বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচারের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন এবং সে কারণে তিনি বিশ্বাস করতেন বাংলার সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে, বাংলার সংস্কৃতিতে যুবকদের জন্য যুব শক্তি হিসেবে রূপান্তরিত করার জন্য বাংলার সংস্কৃতি বিশেষ করে চলচ্চিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাবার সঙ্গে আমারও ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন কিছু স্মৃতি আছে। তিনি আমাদের সিনেমা দেখতে নিয়ে যেতেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। আমি মনে করি আমাদের সংস্কৃতি বা চলচ্চিত্রের উন্নয়ন দরকার কারণ এর ভেতরে আমাদের পরিচয় নিহিত রয়েছে।

শুরু হয়েছে যুবলীগের ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কর্তৃক প্রকাশিত “প্রিয় বঙ্গবন্ধু” গ্রন্থে সন্নিবেশিত যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের লেখা চিঠি থেকে বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও আবৃত্তি শিল্পী আফসানা মিমির পাঠের ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। সপ্তাহব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।

গত ১৩ ডিসেম্বর, বিকাল ৪:৩০ মিনিটে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘শ্যামলছায়া’ প্রদর্শিত হয়, ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় বিকাল ৪:৩০ মিনিটে চিঠি সংকলন “প্রিয় বঙ্গবন্ধু” গ্রন্থ থেকে পাঠ শিল্পী আফসানা মিমি, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র উপর নির্মিত তথ্যচিত্র, চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু ও গেরিলা ছবি প্রদর্শিত হয়, ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিকাল ৪:৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “চিত্রা নদীর পাড়ে”, ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হল প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “জয়যাত্রা”, ১৭ ডিসেম্বর বিকার ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর নিউ মার্কেটে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “আগুনের পরশমণি”, ১৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর বনানী টিএ্যান্ডটি মাঠে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “জীবন থেকে নেয়া”, ১৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্কে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “জীবন থেকে নেয়া” এবং ২০ ডিসেম্বর বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা রাজলক্ষ্মীতে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “আমার বন্ধু রাশেদ”।





Source link

সর্বশেষ - বিনোদন

আপনার জন্য নির্বাচিত