হেলাল সাজওয়াল : যারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন তাদের জন্য শেয়ার বাজারের প্রতিদিনের খবর জেনে রাখা জরুরি। পুঁজিবাজারের হাল অবস্থা এবং যে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন সেই কোম্পানি সম্পর্কেও যাবতীয় তথ্য জানা থাকা দরকার।
ফু-ওয়াং সিরামিক এর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী ১১.৫০ টাকা। ২০১৯ সালে যা ছিল ১১.১৫ টাকা, ২০১৮ সালে ১১.৬১ টাকা, ২০১৭ সালে ১২.০৩ টাকা, এবং ২০১৬ সালে ছিল ১২.৫২ টাকা।২০১৯-২০ অর্থ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিলো ৪৭ পয়সা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে যার পরিমান ছিলো ৫৯ পয়সা, ২০১৭-১৮ তে ছিলো ৬৮ পয়সা, ২০১৬-১৭ তে ৫৯ পয়সা, ২০১৫-১৬তে ২৯ পয়সা আর ২০১৪-১৫তে ছিলো ৩৭ পয়সা। ২০২০ সমাপ্ত অর্থ বছরে কর পরিশোধের আগে কোম্পানির নীট মুনাফা ছিলো ৮৩ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯ হাজার ৬ শত ৯১ টাকা আর ২০১৯ সালে এই পরিমান ছিলো ১১০ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮ হাজার ৮ শত ৫১ টাকা ।
বিএসইসি একটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ৩০% শেয়ার পরিচালনা পর্ষদকে ধারণ করতে নির্দেশনা দেয়। ২০২০ সালে পরিচালনা পর্ষদ সম্মিলিতভাবে উল্লেখিত সংখ্যক শেয়ার ধারণ করার জন্য জুলাই ২০২১ পর্যন্ত বিএসইসির নিকট সময় চেয়ে নিলেও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখের হিসাব অনুযায়ী দেখা যায় কোম্পানিটির মালিকানায় পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২১.০২ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১১.০৪ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ০.৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬৭.৫৪ শতাংশ।
কোম্পানিটির ইতিহাসে মাত্র দুই বার নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ১ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১.৪০ শতাংশ। গত এক বছরে এই কোম্পানির শেয়ার মূল্য ওঠা নামা করেছে সর্বনিম্ন ৮.৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৮.৬০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হয় সর্বশেষ ১১ নভেম্বর ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস ছিলো ১৮.৮০ টাকা। ফু-ওয়াং সিরামিক ১৯৯৮ সালে (ঢাকা এবং চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ) পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে বি ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।
বর্তমানে কোম্পানিটির ৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা স্বল্প মেয়াদী ঋণ রয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ রয়েছে ২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনী কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩টি। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায় মুনাফা কমেছে এবং বিগত বছরগুলোর তুলনায় শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যও কমেছে এরপরও কোম্পানিটির শেয়ার দরে উর্দ্ধমুখিতার কারণ কি? এর পেছনে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করাকেই দায়ী করছে বিনিয়োগকারীরা। ধারনা করা হচ্ছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন করার উদ্দেশে বাজার থেকে শেয়ার ক্রয় করার কারনে শেয়ার দরের এমন তারতম্য হয়েছে। এতে করে কোম্পানিটির শেয়ারের চাহিদা বাজারে বেড়ে গেছে।