মামলার বাদী তাসলিমা আকতার এর বর্তমান ঠিকানায় নাফিজা আক্তার সুমী সাবলেট হিসেবে বসবাস করে আসছিল। গত ০৭/১১/২০২২ ইং, সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় আছমা উল-হোসনাকে নাফিজা আক্তার সুমীর কোলে দিয়ে বাদী তার বাসার ভিতরে ওয়াশ রুমে গোসল করার জন্য যায়। তিনি ওয়াশ রুম থেকে গোসল সেরে বের হয়ে দেখেন যে, সুমী আক্তার ও তার কন্যা আছমা উল-হোসনা (০৫ মাস) বাসায় নেই।
তখন তিনি নাফিজা আক্তার সুমীসহ তার কন্যাকে আশপাশে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে রুমে এসে দেখতে পান যে তার ব্যবহৃত Vivo মোবাইল ফোন এবং ওয়্যার ড্রোবের ভিতরে থাকা নগদ ২,০০০/- টাকা নেই। তখন তিনি বুঝতে পারেন যে, বাদী ওয়াশ রুমে থাকার সুযোগে নাফিজা আক্তার সুমী কৌশলে তার শিশু কন্যা আছমা উল-হোসনা (০৫ মাস)কে অপহরণ পূর্বক বাদীর খাটের উপর থাকা তার ব্যবহৃত সীম সংযুক্ত Vivo মোবাইল ফোন এবং ওয়্যার ড্রোবের ভিতরে থাকা নগদ ২,০০০/- টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। উক্ত অপহরণের বিষয়ে বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাকলিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব নোবেল চাকমা, পিপিএম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (চকবাজার জোন) জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ, বাকলিয়া থানা, জনাব মোহাম্মদ আবদুর রহিম’দের নেতৃত্বে অপারেশন্স অফিসার জনাব সাজেদ কামাল সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানাধীন বড় বগডেইল এলাকা থেকে ভিকটিম আছমা উল-হোসনা (০৫ মাস) কে উদ্ধার পূর্বক ঘটনায় জড়িত নাফিজা আক্তার সুমী কে গ্রেফতার করেন এবং তার হেফাজত থেকে বাদীর চুরি হওয়া একটি Vivo মোবাইল ফোন এবং নগদ ২,০০০/- টাকা উদ্ধার করেন।