শনিবার , ৯ অক্টোবর ২০২১ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

‘আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’

প্রতিবেদক
bdnewstimes
অক্টোবর ৯, ২০২১ ২:৪২ অপরাহ্ণ


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন।

শনিবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও যুব সংহতির আহ্বায়ক মো. মহসীন সরকারের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও যুব সংহতির আহ্বায়ক মো. মহসীন সরকারের কথা স্বরণ করে খন্দকার মোশারফ প্রথমে বলেন, মহসীন সরকার জাতীয় পার্টির সৈনিক ছিলেন। তার অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ কোন অবস্থায় আছে? মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা কি পূরণ হয়েছে? আজকে অর্থনীতির অবস্থান পরিষ্কার বলতে চাইলে কিছুই পূরণ হয়নি। আওয়ামী লীগের ব্যক্তিদের সম্পদ বাড়ছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্য তৈরি করেছে। যারা ধনী হচ্ছেন তারা আরও ধনী হয়ে যাচ্ছেন। আর যারা গরীব হয়েছে তারা নিঃশেষ হয়ে হারিয়ে যাচ্ছেন। এই দেশে কোটি টাকার মালিক কত ছিল এখন কত হয়েছে তা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এক ভাষণে বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতকে যা দিয়েছে তা শোধ করতে পারবে না। আসলে ভারত কি দিয়েছে বাংলাদেশকে সেটা বলা বাহুল্য রাখে না। তিস্তার পানি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। বর্ডার এলাকায় প্রতিদিন মানুষ হত্যা হচ্ছে, যেটা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কাম্য নয়। জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য রাষ্ট্রকে খুশি করা।

খন্দকার মোশারফ বলেন, বর্তমানে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হচ্ছে। দেশের বিচার বিভাগ শেষ করে দিয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র কিছু কথা বলার জন্য। প্রধান বিচারপতির যদি এই অবস্থা হয় তাহলে অন্যান্যদের কি অবস্থা হবে? নিম্ন আদালত এক মামলায় তারেক জিয়াকে খালাস দেয়। সেই বিচারককে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছে, পলাতক হতে হয়েছে। মিথ্যা মামলা খুন-গুম বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা হয়েছে এক লাখের বেশি। সেখানে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এটা স্বাধীন রাষ্ট্রের কাম্য নয়।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সরকার টিকে থাকার জন্য সবকিছু ধ্বংস করেছে। সবদিক থেকে দেশ পিছিয়ে গিয়েছে। এ দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে বন্দী। তারেক রহমানের মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এমন একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ এখন সকল ক্ষেত্রেই বন্দি। আজকে বাংলাদেশের ভোটার অধিকার বিরাজমান নেই। বাংলাদেশের জনগণ চাইছে এই অবস্থা পরিত্রাণ পেতে। বাংলাদেশে এই ধরনের কাজ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদী সরকার চলতে পারে না। এটা জনগণের দাবি, জনগণ চাচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে জনগণের মুক্তি। জনগণের মুক্তি মানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সূত্রে গাঁথা। এই সরকারকে হঠাতে হবে, এই সরকারের অধীনে নির্দলীয় নির্বাচন করা সম্ভব না। এর আগে বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকার নির্বাচন দিয়েছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিলেন। আজকে নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন হবে একথাটাও বলা সম্ভব নয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন দিনের আগে রাতেই কাজ হয়ে গেছ। তারা দাবি করে এটা সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে। আজকে নির্লজ্জভাবে তারা সেটা দাবি করছেন। আসলে দেশ এবং দেশের বাইরে সবাই জানেন এটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আমাদের টার্গেট এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, যেতে পারে না। আর অন্য কোন নির্বাচন হতে দিবে না।
জণগণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। এদেশে ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে সেটা নির্দলীয় সরকারের মাধ্যম ছাড়া সম্ভব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া সরকার গঠন করা সম্ভব না। জনগণের স্বার্থে দেশকে রক্ষা করতে হবে। করোনার কারণে বিএনপি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল তবে আবার সজাগ হয়েছে।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মান্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এআই/এসএসএ





Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা