Last Updated:
সময় ধরে বেহাল থাকা এই পার্ক একটা সময় বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করত। এবার তাই এই পার্ক সংস্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
খোল্টা: জেলা কোচবিহারের খোল্টা এলাকা। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের সীমানায় রয়েছে এই জায়গা। দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকার খোল্টা ইকো পার্ক বেশ অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল পর্যটকদের মধ্যে। তবে ধীরে ধীরে নিজের জেল্লা হারাতে শুরু করে পার্ক। এর ফলে একটা সময় পার্কে পর্যটক সংখ্যা কমে যায়।
তাই বন দফতরের পক্ষ থেকে এবারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পার্কের সংস্কারের জন্য। একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এই ইকো পার্কটিকে কেন্দ্র করে। এতে পার্কের পুরোনো জেল্লা আবারও ফিরে আসবে। এছাড়াও পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে অনেকটা।
বন দফতরের কোচবিহার ডিভিশনের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে বেহাল থাকা এই পার্ক একটা সময় বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করত। এবার তাই এই পার্ক সংস্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে এই ইকো পার্ক ঘিরে। ইতিমধ্যেই কিছু কাজ করা হয়েছে, আরও কিছু কাজ করা হবে। পার্কে থাকা হরিণের খাঁচার কিছু জায়গা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেগুলি সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া টিকিট কাউন্টার ঘর এবং পার্কের ভেতরের কিছু জায়গা সংস্কার করা হয়েছে। বাচ্চাদের খেলনা গুলি সংস্কার করে সুন্দর করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “আগামীতে পার্কে থাকা পাখির খাঁচা সংস্কার করা হবে। এবং বেশকিছু পাখি আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া পার্কের একদিকে থাকা একটি ঝুলন্ত ব্রিজ সংস্কার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে পার্কে জেলার ও জেলার বাইরের পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে অনেকটাই।”
কোচবিহারের এক পরিবেশ প্রেমী অর্ধেন্দু বণিক জানান, “দীর্ঘ সময়ের এই ইকো পার্ক সাধারণ মানুষের জন্য প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর এক সুন্দর জায়গা। তাই এই পার্ক সংস্কার করা হলে অনেকটাই ভাল হবে। এতে বহু মানুষ প্রকৃতির মাঝে সুন্দরভাবে সময় কাটাতে পারবেন জেলার মধ্যেই।”
বর্তমানে জেলার এই ইকো পার্কের ইতিমধ্যেই কিছু কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামীতে বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। তখন এই পার্কে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে এটুকু নিশ্চিত। যদিও জেলার এই একমাত্র ইকো পার্ক যেখানে এসে হরিণ খুব কাছ থেকেই দেখতে পারবেন পর্যটকরা। তাই এই পার্ক গুরুত্বপূর্ন জেলার মধ্যে। এছাড়া জেলার বাইরের পর্যটকদের কাছেও এটি সমান আকর্ষণের জায়গা।
Sarthak Pandit
Kolkata,West Bengal