#কলকাতা: বর্তমানে সবার কাছেই মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকেরই এক মিনিটও মোবাইল ছাড়া চলে না। কিন্তু অনেক সময়ই মোবাইলের নেটওয়ার্ক নিয়ে নানা সমস্যা দেখা যায়। যাদের ফোনে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ কল আসতে থাকে, তাদের কাছে এটি সব থেকে বেশি সমস্যার। কারণ খারাপ নেটওয়ার্কের জন্য তাদের ফোন রিসিভে সমস্যা হয়, বারবার কল ড্রপের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এর থেকে বাঁচার একটু উপায় হল ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) কলিং। এটি ফোন রিসিভের সমস্যা ও কল ড্রপের সমস্যায় সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে অনেকগুলো ফোন একসঙ্গে চালানো সম্ভব হবে। এটি অ্যান্ড্রয়েড (Android) এবং আইওএস (iOS) দু’টিতেই কাজ করে।
আরও পড়ুন- নেট না হলেও চলবে! অফলাইন YouTube ভিডিও দেখার জন্য কীভাবে ডাউনলোড করতে হবে, জানুন
দুর্বল নেটওয়ার্ক, ফোন রিসিভে সমস্যা এবং কল ড্রপের সমস্যা এগুলো এখন অনেক বাড়ি এবং অফিসেই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ হল সেই বাড়ি এবং অফিসের লোকেশন এবং নিকটবর্তী সেল টাওয়ার থেকে তার দূরত্ব। তাই এই ধরনের কানেকশন প্রবলেম থেকে বাঁচতে, কল ড্রপের সমস্যা দুর করতে ব্যবহার করতে হবে ওয়াই-ফাই কলিং ফিচার। ইন্টারনেটের দ্বারা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই ওয়াই-ফাই কলিং এর সুবিধা পাওয়া যাবে। যার খরচা রেগুলার ফোন কলের থেকে বেশি নয়।
ওয়াই-ফাই কলিং অ্যাভেলেবিলিটি
Vi-এর ওয়াই-ফাই কলিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায় মহারাষ্ট্র, গোয়া, কলকাতা, গুজরাত, রাজস্থান, ইউপি ইস্ট, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি এবং মুম্বই সার্কলে। তাদের এই সুবিধা কয়েকটি নির্দিষ্ট ফোনের ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়, যেমন- Apple, OnePlus, Oppo, Realme, Samsung, Xiaomi। এছাড়া Airtel এবং Jio-র ক্ষেত্রে এই সুবিধা অনেক ফোনেই পাওয়া যায়।
কী ভাবে iPhone-এ ওয়াই-ফাই কলিং টার্ন অন করতে হবে?
স্টেপ ১ – প্রথমে সেটিং অল অপশনে গিয়ে ওয়াই-ফাই কলিং সেটিংয়ে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ২ – সিলেক্ট মোবাইল ডাটা, এর পর সিলেক্ট ওয়াই-ফাই কলিং, এর পর ওয়াই-ফাই কলিং অপশনটিকে টার্ন অন করতে হবে।
স্টেপ ৩ – এর পর নম্বর ডায়াল করে ওয়াই-ফাই কলিং করতে হবে।
কীভাবে অ্যান্ড্রয়েডে ওয়াই-ফাই কলিং টার্ন অন করতে হবে?
স্টেপ ১ – প্রথমে সেটিং অপশনে গিয়ে নেটওয়ার্ক সেটিংয়ে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ২ – এর পর ওয়াই-ফাই কলিং সিলেক্ট করতে হবে।
স্টেপ ৩ – এবার সেটিং অন করে নম্বর ডায়াল করে ওয়াই-ফাই কল করতে হবে।