#কলকাতা: ‘দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে’- চন্দ্রবিন্দুর গানটা মনে আছে তো? দুধ না খেলে ভালো ছেলে হওয়া যাবে কি না সন্দেহ থাকলেও, ভালো স্বাস্থ্য কিন্তু পাওয়া যাবে না। তাই রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখতে হবে দুধ। পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, একটি সুষম খাদ্য হিসাবে দুধ হল স্বাস্থ্যকর ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই বিশ্বব্যাপী খাদ্য হিসাবে দুধের গুরুত্ব স্বীকৃতি জানাতেই ১ জুন তারিখকে প্রতি বছর বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মানুষকে দুধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা এবং ডেয়ারি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত কাজগুলিতে জোর দেওয়ার লক্ষ্যে এই দিনটি পালন করা হয়।
ইতিহাস
বিশ্ব দুগ্ধ দিবসটি ২০০১ সালে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তারিখ হিসাবে ১ জুন বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ অনেক দেশ ইতিমধ্যে বছরের সেই সময়ে দুধের জন্য দিনটি উদযাপন করে। ২০০১ সালের পর থেকে প্রতি বছর,১ জুনে প্রচারিত অভিযান এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যগুলির সুবিধা সক্রিয় করা রয়েছে।
তাৎপর্য
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত করে দুধের গুরুত্বের উপরে জোর দেওয়ার একটি সুযোগ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবন, ডায়েট এবং খাদ্য উৎপাদনে ডেয়ারির ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এফএও (FAO)-এর তথ্যে বলা হয়েছে যে দুগ্ধ বিভাগে ১ বিলিয়ন মানুষের জীবিকা চলে। সংশ্লিষ্ট তথ্যে এও বলা হয়েছে যে বিশ্বে ছয় বিলিয়নের বেশি মানুষ দুধ খায়।
এই বছরের থিম
এই বছর বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের বিষয় ‘পরিবেশ, পুষ্টি এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বার্তার সঙ্গে দুগ্ধ বিভাগে স্থায়িত্ব’। worldmilk.org নামক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে “দুধের জন্য স্বল্প-কার্বন ভবিষ্যৎ তৈরিতে সহায়তা করতে প্রযুক্তি গ্রহণকারী কৃষক এবং অন্যান্যদের থেকে আমরা ভিডিওগুলিতে উৎসাহ দিচ্ছি।” ওয়েবসাইটটি বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে কোভিড ১৯-এর প্রভাবও আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং স্থানীয় সরকারের করা নীতি মেনে চলার জন্য আয়োজকদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারাভিযান আয়োজন করতে উৎসাহিত করেছে। এই প্রসঙ্গে ওয়েবসাইটের তরফে জানানো হয়েছে, “বিশ্বব্যাপী কোভিড ১৯ অতিমারীতে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্থানীয় সরকারের করা নীতি মেনে চলতে আয়োজকদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারাভিযান অথবা অনলাইন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে উৎসাহিত করেছিলাম। এই ভাইরাসে আক্রান্ত সকল মানুষের জন্যই আমাদের ভাবনা।”