সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: অটিস্টিক শিশুদের পাবলিক পরীক্ষায় সুনির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট বয়সসীমা আছে। এদের ক্ষেত্রে (অটিস্টিক) সেই বয়সসীমা সেটি প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। এদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সেটি শিথিলযোগ্য হওয়া উচিত। এবং এটি যদি এখনও নাও থেকে থাকে, তবে নিশ্চয় সেটি খুব শিগগিরই করা হবে।’
রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অডিটোরিয়ামে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে সুবর্ণজয়ী শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অটিজম শিশুরা নাচ, গান, আবৃতি ও বক্তৃতায় অংশ নেয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, ন্যাশনাল একাডেমি অর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজএ্যাবিলিটিজ প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদারুল আলম। অনুষ্ঠানে দুজন বিশেষ সক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তির অভিভাবক তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘ওদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো যে কত দরকার তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। এই যে আজকে এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছিল বলেই তারা এত সুন্দর পারফর্ম করতে পেরেছে। অনেকের বক্তব্য শুনেছি, এখনও অনেকে মনে করেন অটিজম অভিশাপ, মনে করা হতো এরা বোঝা। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এদের যে সক্ষমতা রয়েছে, তাদের পাশে একটু দাঁড়ালেই বোঝা যায়, আমাদের এই সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে অটিজম নিয়ে সচেতনতা সাম্পতিক। আমরা বিশ্বে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করছি। আমরা এদিক থেকে বিশ্বের চেয়ে পিছিয়ে নেই। সচেতনতায় আমরা বিশ্বের সঙ্গেই রয়েছি। অটিজমের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ সচেতনতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন নিয়মনীতি ও আইন কানুন তৈরি হয়েছে। এখন সামাজিকভাবে আমাদের একটি পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সরকার বিশেষ সক্ষম শিশুদের সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে