জবি করেসপন্ডেন্ট
জবি: গত তিন শিক্ষাবর্ষে অদক্ষ ও অযোগ্য পরিচালনার জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় না থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) নেতারা। এছাড়া গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির সংকীর্ণতা কাটাতে তারা ১০ দফা দাবি জানান।
শিক্ষক নেতারা জানান, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কাটাতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু হলেও বর্তমান সেটা ভোগান্তি বাড়িয়েছে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জটসহ শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এছাড়াও দক্ষ শিক্ষার্থী বাছাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা হচ্ছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা ও দাবি জানান শিক্ষক সমিতির নেতারা। তবে চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সমস্যা কাটাতে ও সমস্যা মোকাবিলা করতে ১০ দফা দাবির সাপেক্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে সম্মতি দিয়েছেন শিক্ষরা।
দাবিগুলো হলো- রাষ্ট্রপতির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এনটিএ (NTA) গঠনের মাধ্যমে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করে সব পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়ের ক্লাস একইদিনে অর্থাৎ ১ জুলাই ২০২৪ এর মধ্যে শুরু করতে হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোর ও মেধাক্রম প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধ করতে একইসাথে ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও মাইগ্রেশনের জটিলতা নিরসনপূর্বক করতে হবে। আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষদের সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি নিরীক্ষা টিম গঠন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতোপূর্বে পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিও করেছেন তারা।
এছাড়া ভর্তির আবেদন ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা; গুচ্ছভুক্ত ২২টির মধ্যে আসন সংখ্যা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা অনুযায়ী অর্থও দাবি করেছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
সারাবাংলা/এমও