স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে বড় রকমের পরিবর্তনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল সরকার। যা ইদের পর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। নতুন এই শিক্ষাক্রমটি ইতোমধ্যেই মাধ্যমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী জাকির হোসেন গত সপ্তাহে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। পরে সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ইদের পরে প্রাথমিকে নতুন পাঠ্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এই পাঠ্যক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ বেশ কিছু বিষয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এই মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, কোন কোন বিদ্যালয়ে নতুন পাঠ্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে সেটি নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। ইদের পর থেকে সেটির পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শুরু হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণিতে এ বছরের শুরুতে বাছাই করা ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। এরপর আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে বাস্তবায়ন শুরু হবে। সবশেষ ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে এ পর্ব শেষ হবে।
এদিকে মাধ্যমিকের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর নতুন শিক্ষাক্রম পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। তবে ওই সময়ই ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে সে সময় তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিরুদ্ধে এই বিষয়ে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছিল।
এনসিটিবি’তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাধ্যমিকের নতুন শিক্ষাক্রমে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে সার্বিকভাবে যোগ্য করে তোলার চেষ্টা করা হবে। তবে প্রাথমিকে বিষয়টি হবে কিছুটা ভিন্ন। শিক্ষাজীবনের শুরুর এই পর্বে সক্রিয় শিখনের মাধ্যমে শিশুদের পরবর্তী শ্রেণির জন্য যোগ্য করে তোলা হবে।
সারাবাংলা/টিএস/এনএস