আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরাইলের সতর্কবার্তার পর শনিবার (১২ মে) গাজার দক্ষিণের শহর রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। আশঙ্কা করা হচ্ছে রাফায় সর্বাত্মক আক্রমণের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। রাফায় স্থল অভিযান শুরু হলে গত সাত মাসের যুদ্ধে এটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্ররা বারবার ইসারইলকে রাফায় স্থল অভিযান না চালানোর অনুরোধ জানিয়ে আসছে। তবে ইসরাইল বরাবরই সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, রাফায় অভিযান চালানো ছাড়া ’হামাসকে ধংসের’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাদের হাতে অন্য কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার রাফা থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলোতে ছিল হাজার হাজার বয়ষ্ক, শিশু ও অসুস্থ মানুষের ভীড়। ঘোড়ার গাড়ি, ব্যাটারিচালিত গাড়ি ও পিকআপ ট্রাকে যে যেভাবে পেরেছেন, রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন। অসংখ্য মানুষ তীব্র রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে রাফা থেকে বের হয়েছেন। অনেককে হুইলচেয়ারে করেও পার হতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পূর্ব রাফার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো ছেড়ে যাওয়ার আদেশ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি লোক রাফা থেকে পালিয়ে গেছে। এর আগে ইসরাইলি সেনারা মিসর সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে শনিবার থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় অর্ধেক মানুষ পালিয়ে গেছে।
ইসরাইল কয়েক সপ্তাহ ধরে রাফায় আক্রমণ চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে তারা নিয়মিত রাফায় বোমা হামলা চালাচ্ছে। তবে তাদের মূল লক্ষ্য স্থল অভিযান। গত সপ্তাহে রাফায় বড় হামলা চালায় ইসরাইল। এটিকে আসন্ন স্থল অভিযানের পূর্বাভাস হিসেবে দেখছেন অনেকে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাফায় স্থল অভিযান না চালানোর জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বারবার অনুরোধ জানিয়ে অসছেন। তবে নেতানিয়াহু সে চাপ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, হামাসের শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগ এবং গোষ্ঠীটির অবশিষ্ট সদস্যরা রাফায় অবস্থান নিয়েছে। তাই রাফায় অভিযান চালানো ছাড়া ইসরাইলের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: রাফায় ইসরায়েলি অভিযান ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আদালতে দ.আফ্রিকা
সারাবাংলা/ইআ