চবি করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বোর্ড মেম্বার ও গবেষক ড. সেঁজুতি সাহা বলেছেন, এগোতে চাইলে পুরো দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা যদি দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই, তাহলে আমাদের দলবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার ( ২১ মে) বিকেলে দেশবরেণ্য বিজ্ঞনী গবেষক ও গণিতবিদ অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মরণে জাতীয় তরুণ গবেষক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘আজকের এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন দেশ থেকে তরুণ বিজ্ঞানীরা এসেছেন। এটাও একটা দলবদ্ধভাবে কাজের উদাহরণ। আমরা একসঙ্গে কাজ না করলে এগিয়ে যেতে পারব না। আমরা অল্প অল্প করে শিখে যত উপরে উঠি। এই উপরে ওঠার ধাপটা কিন্তু ত্রিভুজ না। যেখানে উপরে শুধু একজন উঠতে পারে। এই জায়গাতে আমরা সবাইমিলে উঠতে পারি।’
বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘আমি নদীর ডাক্তার। নদী রেগে গেলে কীভাবে শান্ত করতে হবে তার ফিলোসোফি বের করা আমার কাজ। আমি এই মুহূর্তে কাজ করছি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কীভাবে করবে তার রাষ্ট্রীয় দলিল যেটা হচ্ছে বিশ্বকে জমা দেওয়ার জন্য আমি তার দলনেতা। তরুণ গবেষকরা ধৈর্য ধরতে জানে না। বেশিরভাগই দুই বছর পর সুপারভাইজারকে অনুরোধ করে গবেষণার বিষয় পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য। এরকম হলে চলবে না। যেটা শুরু করেছো সেটা শেষ করতে হবে।’
গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, ‘জামাল নজরুল ইসলাম আমাদের দেশের গবেষণার বাতিঘর। তার গবেষণাকর্ম তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। আজকের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাল নজরুল ইসলাম জাতীয় গবেষক সম্মেলন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘সঠিক গবেষণার মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। সঠিক গবেষণাপ্রকল্পের মাধ্যমে একটা দেশের সার্বিক উন্নতি সম্ভব।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাল নজরুল ইসলাম রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্স এবং চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির (সিইউআরএইচএস) উদ্যোগে জামাল নজরুল ইসলাম জাতীয় তরুণ গবেষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এই সম্মেলনে ‘কল্পনা ও উদ্ভাবনের পথে আগামী প্রজন্ম’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ৫২৪ জন তরুণ গবেষক অংশ নেন।পদার্থবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও উদ্ভিদ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান, মানববিদ্যা এবং বাণিজ্য- এ ছয়টি শাখায় সম্মেলনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকরা অংশ নেন।
সারাবাংলা/সিসি/পিটিএম