আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ও বিটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে নতুন রূপ ওমিক্রনের পুনঃসংক্রমণের ক্ষমতা প্রায় তিন গুণ বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের করা একটি প্রাথমিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ওমিক্রনের সংক্রমণ লেখচিত্র বিশ্লেষণ করে এ গবেষণাটি করেন বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
বিজ্ঞানীরা সমীক্ষায় প্রায় ২৮ লাখ নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এতে দেখা গেছে, ২৮ লাখ ব্যক্তির মধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের দেহে দুই বা তার চেয়ে বেশি বার সংক্রমণ ঘটেছে, যার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে। ৯০ দিনের ব্যবধানে তাদের শরীরে ফের সংক্রমণ ধরা পড়েছে—তাই এটিকে পুনঃসংক্রমণ বলছেন বিজ্ঞানীরা। তবে ওই গবেষণাপত্রটি এখনও কোনো পিআর রিভিউ জার্নালে প্রকাশ হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ডিএসআই-এনআরএফ সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন এপিডেমিওলজিকাল মডেলিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস’-এর ডিরেক্টর জুলিয়াম পুলিয়েট এ ব্যাপারে টুইটারে বলেন, সাম্প্রতিক পুনঃসংক্রমণ এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ঘটেছে যাদের প্রাথমিক সংক্রমণ মহামারির তিনটি তরঙ্গ জুড়ে ঘটেছে।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, গবেষণাটি প্রাথমিক পর্যায়ের তথ্য নিয়ে করা হয়েছে। এখনই আতঙ্কিত হয়ে না পড়তে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এরপর আফ্রিকার দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সবশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৯টি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টটি সবশেষ গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালানো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে প্রাণহানির ঝুঁকি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশও। বিদেশ থেকে আসতে হলে ফ্লাইটে ওঠার আগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নমুনা পরীক্ষা ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে এলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইনের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আফ্রিকা অঞ্চলসহ ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে—এমন দেশগুলো থেকে আপাতত কাউকে দেশে আসতে নিরুৎসাহিতও করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সারাবাংলা/আইই