জবি করেসপন্ডেন্ট
জবি: গুচ্ছ পদ্ধতিতে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিতব্য দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ৩০ এপ্রিল রাত ১১.৫৯ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ১৫০০ টাকা।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২০ মে, ‘সি’ ইউনিটের ২৭ মে এবং ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হবে না। এরইমধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), এ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে যথাক্রমে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটে আবেদন করতে পারবে।
ইউনিট ‘এ’ তে বিজ্ঞান শাখা হতে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ মাদ্রাসা বোর্ড (বিজ্ঞান) এবং ভোকেশনাল (এইচএসসি) বিজ্ঞান শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট ‘বি’ তে মানবিক শাখা হতে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদরাসা বোর্ড (সাধারণ, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট ‘সি’ তে বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
জিসিই-এর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (ও লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে বি গ্রেডসহ পাঁচটি বিষয়ে পাস এবং আইএএল (এ লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি বিষয়ে বি গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট নম্বরপত্র আপলোডসহ আবেদনের পর সমমান ও যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে আবেদন করতে হবে।
‘এ’ ইউনিটে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, বাংলা, ইংরেজি এই ৬টি বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। তন্মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন উত্তর বাধ্যতামূলক। জীববিজ্ঞান ও গণিত থেকে যেকোনো একটি এবং বাংলা ও ইংরেজি থেকে যেকোনো একটি নিয়ে মোট ৪টি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। ‘বি’ ইউনিটে বাংলা ও ইংরেজিতে ৩৫ নম্বর করে এবং সাধারণ জ্ঞ্যানে ৩০ নম্বর থাকবে। ‘সি’ ইউনিটে হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ৩৫ নম্বর করে এবং বাংলা ও ইংরেজিতে ১৫ নম্বর করে থাকবে।
প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। মেধাতালিকায় স্থান পেতে শিক্ষার্থীদের এবার ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম ৩০ নম্বর পেতে হবে।
পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নম্বরসহ এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ, এইচএসসির মোট নম্বর ও বিভিন্ন বিষয়ের জিপি ও প্রয়োজনে নম্বর বিবেচনায় মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে। শুধুমাত্র গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই পরবর্তীতে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে পছন্দ করা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবে।
২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। তন্মধ্যে শিক্ষার্থীদের যেকোনো একটি কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরবর্তীতে পরিবর্তন করা যাবে না। সময়ক্ষেপণ রোধে এবার একটি মেধাতালিকা ও আসন শূণ্য থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি অপেক্ষমান তালিকা হতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হবে।
ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (www.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর)।
সারাবাংলা/এমও