আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় মিষ্টির দোকানে অভিযান চালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন লিল্টু নামে এক ভূয়া ইউএনও। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে স্বীকার করেন তিনি ইউএনও নয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা উত্তমমাধ্যম শেষে বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে যান।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বেলা ৪ টার দিকে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত লিল্টু (৫০) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কোর্টপাড়ার মৃত নুরুল হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক প্রতারণা মামলা আছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অবস্থিত জিনিয়া হোটেলের মালিক আব্দুল জব্বার বলেন, শনিবার বেলা ১টার দিকে ডিঙ্গেদহ বাজারে রাতুল হোটেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয়ে লিন্টু সেখানে যায়। ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০০ টাকা জরিমানাও করেন। জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন রাতুল হোটেলের মালিক। পরে আমার দোকানে এসে দুটি মিষ্টি খান। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজনের খবর দেয়া হয়। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে উত্তমমাধ্যম শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়াকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইঁয়া সদর থানা পুলিশের একটি টিমকে সাথে নিয়ে সেখানে পৌয়ায়। এ সময় তিনি অভিযুক্ত লিল্টুর ব্যপারে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে প্রতারনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বেলা ৪ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে লিল্টুকে ৬ মাসের বিরাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইঁয়া বলেন, আটককৃত লিল্টুর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৪/৫টি, ঢাকার মতিঝিল থানায় ২টি, খুলনায় ১টি এবং বাগেরহাট জেলায় ১টি প্রতারণা মামলা আছে। লিল্টু একজন প্রতারক। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ফকির ফেরদৌস আলী, ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও ডিঙ্গেদহ বাজার কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান জোয়ার্দ্দার।
নাসিক কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা