ভারতীয় হেঁশেলে জিরে খুবই প্রচলিত ও পরিচিত মশলা ৷ জিরা রাইস, নানারকমের ডাল, তরকারি থেকে মাছের ঝোল-জিরের স্বাদে ও গন্ধে হয়ে ওঠে অতুলনীয় ৷ স্বাদের পাশাপাশি জিরের গুণও বহু ৷ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেম্যাটরি উপাদানে ভরা জিরে গ্যাস,অম্বল, চোঁয়াঢেকুর কমাতে কার্যকর ৷ হজমের সমস্যা কমিয়ে শরীরকে হাল্কা অনুভূতি দেয় জিরে ৷
রান্নায় মশলা হিসেবে খাওয়ার থেকে জিরের গুণ সবথেকে ভাল পাওয়া যায় যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এর জল পান করা যায় ৷ এক চামচ জিরে নিয়ে মিশিয়ে রাখুন দেড় পেয়ালা জলে ৷ দিতে পারেন অর্ধেক চামচ মধুও৷ এ বার ঢিমে আঁচে গরম করুন এই মিশ্রণ ৷ তার পর নামিয়ে ঢাকা দিয়ে আরও ৩-৫ মিনিট রেখে দিন ৷ একটা পেয়ালায় জল ছেঁকে নিয়ে পান করুন ৷
এ বার দেখে নেওয়া যাক এর গুণাগুণ-
জিরের উপাদান শরীরে কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে ৷ জিরের এপিজেনিন ও লুটেওলিন শরীরের কোষকে সুস্থ রাখে ৷ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরকে কর্মশক্তি যোগায় ৷ ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না৷
আরও পড়ুন : ব্যক্তিগত জেট থেকে ১৫ কোটির বাড়ি! বিজয় দেবরাকোন্ডার বিলাসবহুল জীবনযাপন ও সম্পত্তি এখন আকাশছোঁয়া
জিরের জল পান করলে নিয়ন্ত্রিত থাকে রক্তে শর্করার পরিমাণ ৷ মধুমেহ রোগীর শারীরিক অবস্থাও ভাল রাখে জিরে ও জলের মিশ্রণ ৷ জিরের তেলের অংশ কাজ করে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান হিসেবে ৷
রক্তে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রিত করে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে জিরের জল ৷ এই মশলার হাইপোলিপিডেমিক উপাদান রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় ৷
আরও পড়ুন : অকালমৃত্যু এড়াতে সময় থাকতে সচেতন হয়ে হৃদরোগের উপসর্গ চিনুন মহিলারা
পরিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে জিরে জুড়িহীন ৷ যারা নিত্য পেটের গন্ডগোলে ভোগেন বা যাঁরা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম বা ইবিএস-এ আক্রান্ত, তাঁদের ডায়েটে জিরে থাকতেই হবে ৷ এতে হজম ভাল হয় ৷ দূর হয় কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যা৷ তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জিরে অবশ্যই খান এবং জিরের জল পান করুন ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jeera, Jeera water