কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলায় পলাতক আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ও তার স্ত্রীসহ ৮ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন- রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। তারা কারাগারে আছেন।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানী বনানী মডেল টাউনের রোড নম্বর ২/৩ বাড়ি নম্বর-৫ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় খুন করা হয় পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে। পরে লাশ গুম করার জন্য দুর্বৃত্তরা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা রাস্তার পাশে ঝাড়ের মধ্যে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে রাখে। ১০ জুলাই কালিগঞ্জ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বনানী থানায় ১০ জুলাই হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
হত্যায় সহযোগিতার কারণে আইনের সংস্পর্শে আসা দুই কিশোরীর বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়। এই দুজনের বিচার করার জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ দোষীপত্রটি পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে আছেন। ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০২৩ সালে একটি অস্ত্র মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।