নিজস্ব প্রতিবেদক : ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সর্বশেষ বছরের জন্য ঘোষিত ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছেন শেয়ারহোল্ডাররা। যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণায় সর্বোচ্চ।
রোববার (৩০ মে) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
উল্লেখ, গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড ১৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ১৭.৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা আজকের এজিএমে অনুমোদন পেয়েছে।
ইবিএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ- এম. গাজিউল হক, মীর নাসির হোসেন, সেলিনা আলী, আনিস আহমেদ, মুফাকখারুল ইসলাম খসরু, গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন, কে. জে. এস. বানু, জারা নামরীন এবং আশিক ইমরান; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার, কোম্পানী সেক্রেটারী মো. আবদুল্লাহ আল মামুনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ যোগ দেন।
সভায় অংশগ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক শেয়ারধারী উপস্থাপিত সকল এজেন্ডা অনুমোদন করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর মতো চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অর্জিত আর্থিক সাফল্যের জন্য শেয়াধারীদের দ্বারা প্রশংসিত হয় ইবিএল বোর্ড ও ম্যানেজমেন্ট।
ডিএসইতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৭৮৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮১ কোটি ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৮টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৫ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের হাতে শূণ্য দশমিক ৬১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
গত বছর, ২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয়ে বর্তমানে এ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। আজ (৩১ মে) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে।