শশী, জবি প্রতিনিধি:
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন এর বিষয়ে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়(জবি) শিক্ষক সমিতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১ জুলাই ২০২৪ থেকে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন । এই সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি নিম্নরূপ:
১। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবল বিভাগের/ইনস্টিটিউটের ক্লাশসমূহ বন্ধ থাকবে।
২। অনলাইন, সান্ধ্যকালীন, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাশ ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৩। মিডটার্ম, ফাইনাল, মৌখিক ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
৪ । বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ থাকবে। একাডেমিক কমিটি,
পরিকল্পনা কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় ও অন্যান্য সভা অনুষ্ঠিত হবে না।
৫। ভর্তি পরীক্ষাসহ ডিন অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৬। কোন সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে না।
৭। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন শিক্ষক প্রশাসনিক কোন দায়িত্ব পালন করবেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ আছে, আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন। শিক্ষকবৃন্দের ন্যায্য দাবীসমূহ আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।কর্মসূচি চলাকালীন প্রতিদিন দুপুর ১২:০০টা থেকে দুপুর ১:০০টা পর্যন্ত ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।
এবিষয়ে জবি শিক্ষাক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড.শেখ মাশরিক হাসান বলেন,” বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাক সমিতি সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবে। এসময়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান করেন শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে বৈষম্য মূল পেনশন স্কিম বাতিল করে শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা ক্লাসরুমে ফিরতে চাই এ ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।