আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: মেক্সিকোর ‘সিনালোয়া’ অপরাধ চক্রের প্রধান এবং বিশ্বের অন্যতম দুধর্ষ মাদক কারবারি ইসমায়েল এল মায়ো জামবাদাকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো থেকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন ফেডারেল এজেন্সির কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে অন্তরীণ জোয়াকিন এল চাপো গাজম্যানের সঙ্গে ৭৬ বছর বয়সী এল মায়ো তার অপরাধ সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জাম্বাডার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় এল চাপো গাজম্যানের ছেলে জোয়াকিন গাজম্যান লোপেজকেও। ‘ফেন্টালিন’ নামের এক ভয়ঙ্কর মাদক তৈরি ও বিতরণের ষড়যন্ত্রের দায়ে গত ফেব্রুয়ারিতে জামবাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক লিখিত বিৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যারিক গারল্যান্ড জানান, এই দুই ব্যক্তি বিশ্বের সবচেয়ে হিংস্র ও ক্ষমতাশালী মাদক পাচারকারী চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
বিবৃতিতে গারল্যান্ড বলেন, এল মায়ো ও গাজম্যান লোপেজ ভয়ঙ্কর সিনালোয়া কার্টেলের নেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অপরাধীর তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ফেন্টালিন আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাদক এবং এই মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত সিনালোয়া কার্টেলের সব নেতা, সদস্য ও সহযোগীদের আইনের আওতায় না নিয়ে আসা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, সিনালোয়া কার্টেল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মাদক পাচারকারী। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নাগরিকদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ ফেন্টালিন মাদক গ্রহণ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মাদক নির্মূল সংস্থা ডিইএ জামবাদাকে ধরিয়ে দিতে দেড় কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুসারে, জামবাদা তার মাদক সাম্রাজ্য চালানোর পাশাপাশি মেক্সিকোতে বেশ কিছু বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেরও মালিক। এর মধ্যে রয়েছে বিশাল দুধ কোম্পানি, বাস লাইন ও হোটেলের ব্যবসা। পাশাপাশি তার রয়েছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসাও।
এল মায়ো জামবাদা ও জোয়াকিন গুজমান লোপেজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় রাস্তায় মাদকের বিস্তার ঘটানো অন্যতম। বিশেষ ফেনটানিলের মতো মাদকের বিস্তার ঘটানোর অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। এ মাদকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সসীমার মধ্যে বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সারাবাংলা/একে