আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: এক দশক পর বিশ্ব খাদ্যমূল্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ইউএনএফএও) মূল্য সূচক ২০১১ সালের উচ্চতা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য ৩০ শতাংশের বেশি বেড়ে যাওয়ার পর এ বছরও খাদ্যমূল্যের দরবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) প্রকাশিত খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মাসিক খাদ্যমূল্য সূচকে দেখা গেছে, অক্টোবরে সূচক ১৩৩.২ পয়েন্ট যা সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি। টানা তিন মাস ধরেই এ সূচকের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে।
অক্টোবরে বিশ্ব বাজারে ভেজিটেবিল ওয়েলের দর বেড়েছে ৯.৬ শতাংশ যা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। খাদ্য সূচকে ব্যাপক বৃদ্ধির জন্য দায়ীর তালিকায় শীর্ষে অবস্থানে গম। কানাডা, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রধান রফতানিকারক দেশগুলোতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম উৎপাদন হওয়ায় গত ১২ মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গমের দাম। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে গমের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ।
টানা ৪ মাস ধরে বাড়ছে পাম ওয়েলের দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যটির শীর্ষ উৎপাদক দেশ মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিক সংকটের কারণে দর ক্রমাগত বাড়ছে।
সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে এফএও’র দুগ্ধজাত পণ্য সূচক বেড়েছে ২.৬ শতাংশ। তবে গত এক বছরে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম প্রায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে মাংসের দর বেড়েছে ০.৭ শতাংশ।
২০২১ সালে বিশ্বে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বছরের শেষ দিকে এসে খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করা হয়েছে। আগামী মওসুমে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে সংকোচন হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এফএও।
এফএওর নতুন প্রতিবেদনে ২০২১ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদনের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ২৭৯৩ মিলিয়ন টন নির্ধারণ করা হয়েছে যা গত মাসের প্রতিবেদনে দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়ে ৬.৭ মিলিয়ন টন কম। ইরান, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রে গমের উৎপাদন কম হওয়ায় সার্বিক উৎপাদনের এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে এফএও।
সারাবাংলা/আইই