#পোল্যান্ড: যুদ্ধ লাগলে কোন কোন স্তরে গিয়ে তার প্রভাব পড়ে তা ভাবলেও অবাক হয়ে যেতে হয়! ইউক্রেনে যুদ্ধ (Ukraine War) আক্রান্ত পোষ্য প্রাণীদের কথা সংবাদে উঠে এসেছে আগেই। এবার যুদ্ধ আক্রান্ত দেশের চিড়িয়াখানার পশুদের সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। পোল্যান্ডের চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে বাঁচতে দুই দিন টানা গাড়ি চালিয়ে পূর্ব কিয়েভের একটি অভয়ারণ্য থেকে ছয়টি সিংহ, ছয়টি বাঘ, দু’টি ক্যারাকাল এবং একটি আফ্রিকান বন্য কুকুরকে নিয়ে একটি ট্রাক বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডে পৌঁছেছে। পশ্চিম পোল্যান্ডের পোজনান চিড়িয়াখানার কাছ থেকে এই প্রাণীদের নিরাপত্তা চেয়ে (Ukraine War) সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন অভয়ারণ্যের (Ukraine Zoo) মালিক।
আরও পড়ুন- পোষ্যদের ছেড়ে যেতে চাইছেন না ইউক্রেনীয়রা! যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ভাইরাল পোষ্যদের ছবি
“জাইটোমির এবং অন্যান্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চল এড়াতে তাদের অনেক দূর যেতে হয়েছিল। ওদের অনেকবারই গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরেও যেতে হয়েছিল, কারণ সমস্ত রাস্তাই বোমা ফেলে (Ukraine War) উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সবটাই গর্ত ভরা। এই জাতীয় পশু নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া অসম্ভব, যে কারণে এতটা সময় লেগেছে,” বলেন পোজনান চিড়িয়াখানার মুখপাত্র মালগোরজাটা চডিলা।
তিনি আরও বলেন, “তবে শেষমেশ ওরা এখানে এসে পৌঁছেছে, সত্যি বিশ্বাস করতে পারছি না। ট্রাকটি রওনা হয়েই রাশিয়ান ট্যাঙ্কের মুখোমুখি পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছিল, গাড়িটা বেরোতে পারেনি।” চডিলা জানান, বাঘের শাবক সহ সমস্ত প্রাণীই এই দীর্ঘ সফরে বেঁচেই রয়েছে। কিন্তু ১৭ বছর বয়সী একটি বাঘিনীর জন্য বেশ চিন্তিত চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে ওই বাঘিনী।
আরও পড়ুন- দীর্ঘদিন ধরে মন খারাপ, হতাশা? সতর্ক হন, মনের প্রভাব পড়ছে আপনার দাঁত ও মাড়িতেও!
ড্রাইভারকে এই পথ পাড়ি দিতে সাহায্য করছিলেন তিনজন বয়স্ক ব্যক্তি যাদের বন্য প্রাণীদের সামলানোর কোনও অভিজ্ঞতাও নেই। এই প্রাণীদের সামলে এখন নিজেদের শহর রক্ষার জন্য (Ukraine War) কিয়েভে ফিরে গেছেন তারা। বেলজিয়ামের একটি অভয়ারণ্য জানিয়েছে, ছয়টি সিংহ এবং আফ্রিকান বন্য কুকুরটিকে রাখতে পারবেন তারা, জানিয়েছেন চডিলা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ukraine war, Zoo