#নয়াদিল্লি: বিজ্ঞানের চিরকালীন বিষ্ময়গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য। ইংরাজিতে যা ব্ল্যাক হোল নামে পরিচিত। এই কৃষ্ণগহ্বরের অনেক রহস্যই এখনও অজানা। মানুষের কাছে বিষ্ময় এই বিশালাকার কালো জগৎটি। এ বার সেই ব্ল্যাক হোলেরই একটি বিশেষ শব্দ প্রকাশ করল নাসা। অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে শক্তিশালী যে গহ্বর, তার এককথায় পরিচয় করাল নাসা।
কিন্তু সেখানে তো শব্দ রেকর্ড করা সম্ভব নয়, তা হলে কী করে এই শব্দ পাওয়া গেল। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল থেকে এক বিশেষ ধরনের তরঙ্গ বাইরের দিকে আসে। সেই তরঙ্গগুলিকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই তরঙ্গের যে পরিসংখ্যান, সেটিকে ফেলা হয়েছে শব্দের নিরিখে। তার পরেই এই শব্দ পাওয়া গিয়েছে। আক্ষরিক অর্থে ব্ল্যাক হোল ফেরত শব্দের অবস্থায় স্কেল সি-এর থেকে ৫৭ অক্টেভ নীচে। যা মানুষের শ্রবণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন – ফিরছে স্মৃতি! কলকাতায় ফের পাওয়া যাবে বাজাজ চেতক, মাত্র ২ হাজারে শুরু হচ্ছে বুকিং
মহাশূন্যে শব্দ নেই, এই জনপ্রিয় বিষয়টি চাউর হয়েছে, কারণ মহাশূন্য কোনও বাতাস বা কিছু নেই। শব্দ বাহিত হতে গেলে কোনও মাধ্যম লাগে, মহাশূন্য তা না থাকাকেই শব্দহীনতা বলা হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মহাকাশে যে ছায়াপথ পুঞ্জ আছে, সেই বিপুল ছায়াপথ পুঞ্জের মধ্যে আছে গ্যাস। সেই গ্যাস সাধারণত শব্দের বহনমাধ্যম হতে পারে। সেগুলিই ওই মহাজাগতিক শব্দকে বহন করে নিয়ে চলে।
আরও পড়ুন: ইনিই বিশ্বের ভয়ঙ্করতম স্নাইপার! ছাড়লেন ইউক্রেন, তুললেন ভয়ঙ্কর অভিযোগ
এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণগহ্বর সপ্তাহ উপলক্ষে একটি শব্দের রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে নাসা। এই প্রথমবার রেডিও তরঙ্গ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই শব্দের নিজস্ব চরিত্র তৈরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে অক্টেভে ওই শব্দ ছিল, সেটি থেকে ৫৭-৫৮ অক্টেভ ওপরে তোলা হয়েছে এই শব্দকে, তাই সাধারণ মানুষ শুনতে পাচ্ছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Black hole