নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রামু উপজেলাধীন জোয়ারিয়ানালা এলাকার উত্তর মিঠাছড়ির ফজল আহমদের খরিদা সুত্রে ভোগদখলীয় জমি কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু কর্তৃক মোটা অংকের চাঁদা দাবী ও অবৈধভাবে দখলে নিতে হামলা চালিয়ে টিনের ঘেরা বেড়া ভাংচুর ও মহিলাদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে ফজল আহমদ জানান, সাত বছর পুর্বে আবিদুর রহমান চৌধুরী ও ছেনুয়ারা বেগমের ১১৫৯ ও ১৭০২ নং খতিয়ান থেকে ২২ শতক জমি ক্রয় করে শান্তিপুর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। উক্ত জমিতে বাউন্ডারি ও মাটি ভরাট করে উন্নয়নের কাজ করতে গেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদ (৩৫) পিতা আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে , তার সিন্টিকেটের আলী মিস্ত্রীর পুত্র রহিম ছাত্রলীগ নেতা মনসুর ও বাবু মিলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে, আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ২৫ ফেব্রয়ারী রাতে তারা হামলা চালিয়ে টিনের ঘেরা বেড়া ভাংচুর করে বাসায় ঢুকে লুটপাট করে, আমার মেয়ে বাধা দিতে গেলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে চলে যায় । আমার ছেলেকে মোবাইলে চাদা না দিলে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমি আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চাই। অনুসন্ধানে জানা যায়, মোস্তাক আহমদ সিন্ডিকেট এলাকার দুধর্ষ সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যু। তাদের বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতা,বৌদ্ধ মন্দির পুড়া ও ইয়াবাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। সে এ বাহিনীকে লালন করে গরীব অসহায় মানুষদের জমি দখল সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে। এই বিষয়ে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার দীর্ঘ দিনের ভোগ দখলীয় জায়গা চাঁদা না দেওয়ায় অবৈধ ভাবে দখলে নিতে ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হয়রানী সহ হুমকি দিয়ে আসছে। এই বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, চাদা দাবী ও কাউকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো আইনত দণ্ডনীয়। বর্তমান বাংলাদেশে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে কেউ পার পাবে না। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি মিমাংসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি ফজল আহমদের দলিলপত্র তদন্ত করে দেখেছি সব সঠিক আছে। এখানে মোস্তাক আহমদের কোন ভিত্তি নেই। বিষয়টি সমাজিক ভাবে সুরাহার চেষ্টা চলছে বলে জানান।
সংবাদ প্রেরক: আহমদ ছৈয়দ ফরমান, রামু