স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি বা একক পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য কাজ শুরু করেছে সরকার। প্রথমে সারাদেশে থেকে বাছাই করা ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই আইডি পাবে। এরপর মোট তিন কোটি শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে একক পরিচয় পত্র।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের জন্য একক পরিচয়পত্র দেওয়ার এই প্রকল্প শুরু হয় ২০১৯ সালের মার্চে। যার মেয়াদ শেষ হবে এই বছরের ডিসেম্বর মাসে। এরমধ্যে প্রথম ৮০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একক পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। এরপর ধীরে ধীরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে তিন কোটি শিক্ষার্থীকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এতে মোট ১৩ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যার প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীরকে একক আইডি দেওয়া হবে। সর্বনিম্ন ৫ বছর বয়স থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত বয়সের শিক্ষার্থীরা এই আইডি পাবে। প্রতিটি আইডিতে একটি ইউনিক সিরিয়াল নম্বর থাকবে। যা পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে সমন্বয় করে কাজে লাগানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত প্রোফাইল তৈরিত করতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এখানে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এই সফটওয়্যার তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। এটি করা হয়ে গেলেই ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইউনিক আইডি হাতে পাবে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, দেশের সকল শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয়ের জন্য একই রকম আইডি পাবে। এই ইউনিক আইডির তথ্য পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতেও কাজে লাগবে।
সারাবাংলা/টিএস/এএম