এস.এম.দেলোয়ার হোসাইন, মাদারীপুর প্রতনিধি : মাদারীপুরের শিবচরে ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে নাহিদ শেখ (২৮) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আর এঘটনায় পলাতক রয়েছে অপর এক আসামী।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।তবে শনিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে শিবচর থানায় উপস্থিত হয়ে নাহিদ শেখে কে প্রধান আসামী করে আরো একজনে নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থীর ভাই।পরে রাত ১ টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত নাহিদ শেখ বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মোল্লা কান্দি গ্রামের কায়ুম শেখের ছেলে ও পলাতক আরিফ হাওলাদার (২৮) একই গ্রামের তারা মিয়া হাওলাদারের ছেলে।
রোববার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।শিবচর থানার উপপরিদর্শক বরুন হীরা দুপুর ১২ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ওই শিক্ষার্থী নিজ বাড়ি হইতে পাঁয়ে হেটে স্থানীয় মালের হাট বাজারে যাওয়ার পথিমধ্যে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিবচর থানাধীন সন্যাসীরচর ইউনিয়নের বিনা কোম্পানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার পূর্ব পরিচিত আশিক মাদবর (২০) এর সাথে দেখা হইলে তারা রাস্তার উপর দাড়িয়ে কথপোকথন শুরু করে। এসময় বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মোল্লা কান্দি গ্রামের কায়ুম শেখের ছেলে নাহিদ শেখ ও একই গ্রামের তারা মিয়া হাওলাদারের ছেলে আরিফ হাওলাদার একটি নীল রংয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের সামনে এসে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে জোর পূর্বকভাবে ওই শিক্ষার্থীকে তাদের সাথে থাকা মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে সন্যাসীরচর ইউনিয়নের মাদবর কান্দি এলাকার হারুন শেখের কলা বাগানে নিয়ে যায়। পরে নাহিদ শেখ তার সাথে থাকা আরিফ হাওলাদারকে দূরে সরিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চাপিয়া ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই শিক্ষার্থী ধস্তা ধস্তির একপর্যায়ে চিৎকার দিলে আশপাশ হতে লোকজন এগিয়ে আসে। ততক্ষনে আসামী নাহিদ শেখ কলা বাগানের মধ্যে হতে বাহির হয়ে পালিয়ে যায়।
পরে শিবচর থানার উপপরিদর্শক বরুন হীরার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে শিবচর থানায় নিয়ে আসে।এছাড়াও রাতে অভিযান পরিচালনা করে রাত ১ টার দিকে ওই গ্রাম থেকে নাহিদ শেখকে আটক করে।
মামলার বাদী বাবু বেপারী বলেন, ওরা আমার বোনের ইজ্জত নিয়েছে। আমি আইনের মাধ্যমে ওদের কঠিন বিচার চাই।
শিবচর থানার উপপরিদর্শক ও মামলা তদন্ত কর্মকর্তা বরুন হীরা (দুপুর ১২ টার দিকে) মুঠোফোনে বলেন, সংবাদ পেয়ে গতকাল সকালে মেয়েটিকে উদ্ধার করি ও রাত ১ টার দিকে মামলার ১ নম্বর আসামীকে আটক করি। আসামী মাদারীপুর কোর্টে ও মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন,” গতকাল সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। রাতে মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে মামলা করার ৪ ঘন্টা পরে মামলাম প্রধান আসামিকে আমরা গ্রেপ্তার করি । অন্য আসামীকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান ওসি।