জাককানইবি করেসপন্ডেন্ট
জাককানইবি: কুয়াশায় সু-আশার প্রত্যাশা নিয়ে, অমানিশার অন্ধকারকে দূরে ঠেলে হৃদয়ে হৃদয়ে আলো জ্বালানোর প্রত্যয় নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত কুয়াশা উৎসবের পর্দা নেমেছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে’র সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এবারের উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুরু হয় সকাল সাতটায় যন্ত্র সংগীতের মধ্য দিয়ে, এরপর রাগ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত শেষে পিঠা পার্বণের মধ্য দিয়ে সকালে আয়োজন সমাপ্ত হয়।
এরপর বিকেল তিনটায় উৎসবের মূল মঞ্চে হয় রম্য বিতর্ক, কবিতা প্রহরী, ময়মনসিংহ গীতিকা শতবর্ষ উদযাপন ও চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় গানের আসর। শিল্পী মুয়ীয মাহফুজ, কফিল আহমেদরা মঞ্চে উঠে তাদের গান পরিবেশ করেন। সব শেষে মঞ্চে ওঠে সহজিয়া।
এরমাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও তাদের গান পরিবেশন করেন। পরে কীর্তনের মধ্যদিয়ে পর্দা নামে এবারের কুয়াশা উৎসবের।
সমাপনী বক্তব্যে কুয়াশা উৎসব প্রসঙ্গে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘কুয়াশাতে সবসময় তরুণরা সু-আশা তারা দেখে থাকেন। বিচ্ছিন্নতা নয় তারা যুথবদ্ধতার শিক্ষা নেয়। আমাদের যে নানারকমের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আছে, যে সব নিদর্শন আমরা হারাতে বসেছি সেগুলা তারা এই উৎসবে প্রদর্শন করে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেভাবে কুয়াশা উৎসব উপহার দিল সেটা খুবই চমৎকার। আমি মনে করি দুই বছর পর পর নয় বরং প্রতিবছর কুয়াশা উৎসব হওয়া উচিত। আমি প্রতিবছর এভাবে কুয়াশা উৎসব উদযাপন করতে চাই। আগামী বছর এই উৎসব করবার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।’
এর আগে গত রোববার ‘হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়’, স্লোগান সামনে রেখে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় দু’দিনব্যাপী কুয়াশা উৎসব-১৪৩০।
সারাবাংলা/এমও