ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
ঢাবি: ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, সংগৃহীত রক্ত বিতরণ ও হেলথ ক্যাম্প কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ: মানবতায় অগ্রদূত’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে দেরিতে হলেও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলাতে পেরেছি। বিভিন্ন দেশে থাকা বাকি খুনিদেরও আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারকে বারবার বলছি, যাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হয়। কিন্তু, আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছি না। অ্যামেরিকা-কানাডার মতো দেশগুলো আজ বলছে, তাদের আইন অনুযায়ী নাকি সেসব খুনিদের দেশে পাঠাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের এই মানবতা কোথায় ছিল?’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যে গণমুখী স্বাস্থ্যসেবার চিন্তা ছিল, তা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোতে এখন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করতে আসেন। এটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অবদান।’
গত ৬ জানুয়ারি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সাদ্দাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রার আগে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি। অনেকেই সেদিন আহত হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা অত্যন্ত শৃঙ্খলার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে প্রতিকূল পরিস্থিতেও বিজয়ী হতে পারে, সেটি ছিল তার প্রমাণ।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন— স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন, শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরীসহ অনেকে।
সারাবাংলা/আরআইআর/এনএস