#নয়াদিল্লি: প্রত্যেক বাঙালি সঙ্গোপনে লালন করে একটা স্বপ্ন, নিজের বাড়ি। স্বপ্নের সেই বাড়ি রাঙিয়ে তোলা হয় পার্থিব রঙে। কিন্তু এটা নিয়ে একটা খুঁতখুঁতুনি মনের ভেতর চলতে থাকে। কী রঙ লাগালে ভালো দেখতে লাগবে বাড়িকে, কত খরচ পড়বে, কতটা রঙ লাগবে- এই সব কিছু। সেই সঙ্গে খরচের হিসেব তো আছেই চিন্তা নেই। এমন ১০টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল এখানে। পড়ে নিলেই হল, আর তার পর খরচ বাঁচিয়ে নিজে হাতে বাড়ি রঙ করা যাবে একেবারে অভিজ্ঞদের মতো।
কীভাবে রঙ করতে হবে, সেই কথায় আসার আগে একটা বিষয় পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার- নিজের হাতেই বা কেন বাড়ি রঙ করতে হবে? এক্ষেত্রে আসল ব্যাপারটা হল পরিতৃপ্তি। নিজে হাতে রঙ করে যে তৃপ্তি পাওয়া যাবে, সেই রঙের বাহার দেখে সবাই যখন তারিফ করবেন, তার যে আনন্দ, সেটা তুলনাহীন। তাছাড়া পেশাদাররা যতটা নির্দয় ভাবে ফেলা-ছড়া করে রঙ করেন, সেই অপচয়ের ভয়টাও নিজের হাতে করলে থাকে না।
এখনও কি সাহসের অভাব হচ্ছে? চোখ রাখা যাক তাহলে নিচের নিয়মগুলোতে!
চাহিদা: বাড়িকে শেষ পর্যন্ত কীভাবে দেখতে চাওয়া হচ্ছে, মনের কোণে সেই ছবিটা যেন স্পষ্ট থাকে। ঘরের চার দেওয়ালকে এক রঙে আনার চেয়ে অ্যাকসেন্ট দেওয়াল থাকা ভালো। ছাদকেও ভিন্ন রঙে রাঙিয়ে তোলা যায়।
আরও পড়ুন – Healthy Lifestyle: হুড়মুড়িয়ে কমবে ওজন, রাতে বিছানায় সঙ্গীকে দেবেন তৃপ্তি, খাবারে রাখুন কর্পূর
মনের মতো রঙ: বাড়ি কি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে না কি সুশীতল শান্তির নীড় হবে, আগে সেটা ঠিক করতে হবে। সেই অনুযায়ী বাছতে হবে রঙ। বাড়ির আসবাবপত্রগুলো কী রঙের, দেওয়ালের রঙ তার সঙ্গে মানাবে কি না সেটাও মাথায় রাখতে হবে। দেওয়ালে স্যাম্পেল কালার লাগিয়ে বিভিন্ন আলোয় সেটা কেমন দেখাচ্ছে তাও পরীক্ষা করে নিতে হবে। তার পরেই একমাত্র রঙ কেনার সিদ্ধান্ত পাকা হবে।
সরঞ্জাম: কী দিয়ে রঙ করা হবে সেটা নির্ভর করছে দেওয়ালের অবস্থার উপর। দেওয়াল স্যাঁতস্যাঁতে বা ফাটল থাকলে একরকম, আবার শুধু প্লাস্টার করা থাকলে আরেকরকম। তাই পেইন্ট, পেইন্ট রোলার, পেইন্ট ব্রাশ, পেইন্ট রোলার এক্সটেনশন পোল, স্যান্ডপেপার, পেইন্টারের টেপ, পেইন্ট ট্রে, ন্যাকড়া, সুতির ক্যানভাস, ড্রপ কাপড় এবং পুটি নাইফ কাছে রাখতেই হবে।
আরও পড়ুন – Gangtok Rains: ঘুমের মধ্যেই ল্যান্ডস্লাইডে চাপা পড়ল বাড়ি, মৃত্যু মা ও ছেলের
কতটা রঙ লাগবে: বার বার দোকানে যাওয়ার চেয়ে কতটা রঙ লাগবে সেটা হিসেব কষে বুঝে নিতে হবে। একা এই অঙ্ক কষা কঠিন মনে হলে অনলাইনে পেইন্ট ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায়।
ঘরের প্রস্তুতি: রঙের ছিটে লেগে শখের সোফা কিংবা টেবিলের বারোটা বাজতে পারে। তাই দেওয়াল রঙ করার আগে আসবাবপত্র মাঝখানে রেখে তার উপর প্লাস্টিক বা ড্রপ কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। নাহলে রঙের ছিটে লেগে চারপাশের সব কিছুই নষ্ট হবে।
রঙ মেশানো: প্রাথমিক প্রস্তুতি তো শেষ, এবার কাজে লেগে পড়ার পালা। রঙ করার প্রথম ধাপই হল সেটা ভালো করে গুলে নেওয়া। এক্ষেত্রে একটা প্লাস্টিকের বালতিতে রঙ মেশানোর জন্য কাঠের লাঠি ব্যবহার করা উচিত। পুরো বাড়ি রঙ করতে হলে বার বার রঙ মেশাতে হবে। তাই কাঠের লাঠিই ভালো। আর এক গ্যালনের বেশি রঙ ব্যবহার করলে পরিষ্কার বালতিতে ঢেলে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। নাহলে রঙে বদল আসতে পারে।
রঙ করার কৌশল: বাড়ি রঙ করা আসলে একটা কৌশল। ছাদ থেকে রঙ শুরু করতে হয়। তার পর নামতে হয় নিচের দিকে। একসঙ্গে সব দেওয়াল রঙ করতে শুরু করা ঠিক নয়। একটা একটা করে দেওয়াল শেষ করতে হয়।
বায়ু চলাচল গুরুত্বপূর্ণ: রঙ করার সময় যেন ঘরে বায়ু চলাচল করতে পারে। তাহলে তাড়াতাড়ি শুকোবে। এ সময় তাই দরজা, জানলা খোলা রাখা উচিত। বর্ষাকালে বা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় রঙ করলে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেবে।
পরিষ্কার: ব্রাশের মতো পেইন্টিং সরঞ্জাম পরিষ্কারের সময় পেইন্টারের টেপ সরিয়ে ফেলতে হবে। তেল ভিত্তিক রঙ পরিষ্কার করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়। জল এবং ল্যাটেক্স ভিত্তিক রঙের জন্য সাবান এবং জলই যথেষ্ট।
সময়: রঙ করতে কতটা সময় লাগতে পারে তা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। ঘরের আকার, কীভাবে রঙ করা হচ্ছে, এ সবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেটাও ছকে নেওয়া দরকার। তার পর আর কী- স্রেফ দিন বুঝে ধীরে ধীরে কাজ নামিয়ে ফেললেই হল!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Home Decor